আবাহনী ৩-০ গোলে হারাল মোহামেডানকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনী

এ বছর মার্চে পরিত্যক্ত হওয়া ফুটবল মৌসুমে আবাহনী ৪-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডানকে। সেটি ছিল গত বছর জুনে একই ব্যবধানে সাদা-কালোদের কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ। হিসাব বরাবর ছিল। নয় মাস পর মাঠে গড়ানো মৌসুমসূচক ফেডারেশন কাপে প্রথম সাক্ষাৎ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। এবারও জয় আবাহনীর। হার মোহামেডানের।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ডি-গ্রুপের ম্যাচে আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে মোহামেডানকে। জুয়েল রানা দুটি এবং মাসিহ সাইঘানি একটি গোল করেন। আফগান ডিফেন্ডার সাইঘানিকে ফিরিয়ে যে ভুল করেনি আবাহনী, তার প্রমাণ দিলেন তিনি।

universel cardiac hospital

রক্ষণে যেমন ছিলেন অতন্দ্রপ্রহরী, তেমনি গোল করান জুয়েল রানাকে দিয়ে। আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচ বলেই অন্যদিনের তুলনায় দর্শক কিছুটা বেড়েছিল। উত্তেজনার রেণু ছড়িয়েছিল অল্প সংখ্যক দর্শকের মাঝে। প্রিয় দলের আক্রমণে তারা যেমন সরব ছিলেন, তেমনি ভুল করলে স্লেজিংও করেছেন। ম্যাচের শুরু থেকে অগোছালো ফুটবল খেলে দু’দল। পরিকল্পিত আক্রমণ ছিল না। দু’দলই আগে রক্ষণ সামলানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছিল বেশি।

বল মাঝমাঠে ঘুরপাক খেয়েছে। ৩১ মিনিটে বেঁচে যায় মোহামেডান। বাঁ প্রান্ত দিয়ে রুবেল মিয়ার মাইনাসে বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের প্লেসিং শট নেন বেলফোর্ট। বল সোজা মোহামেডান গোলকিপার হোসাইন সুজনের হাতে। মিনিটদশেক পর রায়হানের লম্বা থ্রোয়ে প্রথম গোলের আনন্দে মেতে ওঠে আবাহনী। ম্যাচের ৪১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে রায়হানের থ্রোয়ে আফগান ডিফেন্ডার সাইঘানির হেড জড়িয়ে যায় মোহামেডানের জালে (১-০)।

গত মৌসুমে আবাহনী ছেড়েই চেন্নাইন এফসিতে খেলেছিলেন সাইঘানি। এবার তাকে ফিরিয়ে এনেছে আবাহনী। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে আলো ছড়ালেন তিনি গোল করে ও করিয়ে। গোলের পর দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।

একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে আবাহনীর সাদ উদ্দিন এবং মোহামেডানের আমির হাকিম বাপ্পির মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। রেফারি মিজানুর রহমান দু’জনকেই হলুদ কার্ড দেন। মিনিটচারেক পর আবারও উৎসব আবাহনীর। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে আবাহনীর অধিনায়ক ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনের শট বক্সের মধ্যে পান সাইঘানি। তিনি চমৎকার বাইসাইকেল কিক নেন। চলন্ত বলে হেডে গোল করেন জুয়েল রানা (২-০)। প্রথমার্ধেই ব্যাকফুটে চলে যায় মোহামেডান।

দ্বিতীয়ার্ধের আট মিনিটে মোহামেডানের হতাশা আরও বাড়িয়ে দেন জুয়েল। এবার সহায়তাকারী রায়হান। তার থ্রোয়ে বক্সে বেলফোর্টের হেডে আসা বলে পা ছুঁইয়ে দেন জুয়েল (৩-০)। এই মিডফিল্ডারের দ্বিতীয় গোল। ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী।

শেয়ার করুন