গণহত্যা ও নির্মম নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তারা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে রওয়ানা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফায় ৭০০ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনা থাকলেও ১৫০০ এর বেশি রোহিঙ্গা সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যে স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে করে তারা চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে ২১টি বাসে চড়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা করেছেন রোহিঙ্গারা।
এর আগে প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়। তারা সেখানে গিয়ে ভালো আছেন এমনটা জানার পর অন্য রোহিঙ্গারাও সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে কয়েক মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারে রয়েছে।
সরকার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার বারবার আশ্বাস দিলে নানা ছলচাতুরির আশ্রয়ে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। এই অবস্থায় সরকার নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।