দলীয় ও বিরোধীদলের চাপের মুখে অবশেষে করোনা বিলে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বিলে সই করার সময়ে তিনি ফ্লোরিডায় ছুটিতে ছিলেন। এই অর্থ করোনার মধ্যে আমেরিকায় বেকার হয়ে পড়া কয়েক মিলিয়ন লোকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট ও আল জাজিরার
এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানান, ‘কোভিড রিলিভ বিল নিয়ে সুসংবাদ রয়েছে। তথ্য জানতে অনুসরণ করুন’। এমন টুইটের কিছুক্ষণ পরই হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এর আগে প্রত্যেক মার্কিনিকে ৬০০ ডলারের পরিবর্তে ২০০০ ডলার দিতে বিলের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০০০ ডলার এবং বাচ্চাদের জন্য ৬০০ ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ক্রিসমাসের ছুটিতে ক্রিসমাস উইকেন্ডে তার মার-এ-লগো রিসর্টে গল্ফ খেলায় ব্যস্ত রয়েছেন ট্রাম্প। নিজের দলীয় ও বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের চাপের মুখে তিনি এই বিলে সই করতে বাধ্য হয়েছেন। গত সপ্তাহে কংগ্রেসে বিলটি অনুমোদিত হয়। এটি পাস হওয়ার জন্য ট্রাম্পের সইয়ের প্রয়োজন ছিল।
যাদের বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার ডলার তারা প্রত্যেকে ৬০০ ডলার করে অনুদান পাবেন। এছাড়া যাদের বার্ষিক আয় ৯৫ হাজার ডলার তারা কিছুটা কম অর্থ পাবেন। এছাড়া শিশুদেরকেও ৬০০ ডলার করে দেয়া হবে।
এর আগে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা বিলে সাধারণ নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ না রাখার অভিযোগে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারি মোকাবিলায় এই জরুরি ব্যয় বিল পাস করতে কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল। গত ২১ ডিসেম্বর বিলটি কংগ্রেসের দুই কক্ষেই পাস হয়। বিলটিকে আইনে পরিণত করতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিলটিতে করোনা ভাইরাসে অতি জরুরি সহায়তার জন্য ৯৮ হাজার ২শ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বেকারভাতাও। ট্রাম্প এই বিলে সই না করলে এই ভাতাও বন্ধ হয়ে যেত।