নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘আক্রমণের নিশানা’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
গতকাল সোমবার বোলপুরে এক অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ওরা (বিজেপি) রাজনৈতিক আক্রমণের লক্ষ্য করে তুলেছে আমাকে। আর অমর্ত্য সেনকে শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। উনি পশ্চিমবঙ্গের গর্ব। খবর আনন্দবাজার।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির সীমানায় বিশ্বভারতীর জমি রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ক্ষমতায়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বিশ্বভারতীর যে জমিতে তার বাড়ি, সেটি দীর্ঘমেয়াদি লিজ নেয়া আছে। মেয়াদ শেষ হতে এখনও অনেক বছর বাকি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক ভাষণে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে জমি দখলের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি দিয়েছে। অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ বিশ্বভারতীর জমির ওপর নির্মিত বলে অভিযোগ তোলা হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় অমর্ত্য সেন জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কখনও জমি দখল নিয়ে তার কিংবা তার পরিবারের কাছে কিছু জানায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলেই অমর্ত্য সেনের মতো মনীষীকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বাংলার পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।
গত বেশ কয়েক দশক ধরে শান্তিনিকেতনে বাস করছেন অমর্ত্য সেনের পরিবার। সে বাড়ি এখন অমর্ত্য সেনের নামে চিহ্নিত। এত দিন বাদে জমির হিসেব নিয়ে বিশ্বভারতী যা করছে, তাকে শিষ্টাচারের পরিপন্থী বলে ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, আমার যদি সেই সুযোগ আসে, তা হলে আমি অমর্ত্য সেনকে জমি দিতে পারলে ধন্য হব। তিনি যা বলবেন, যে ভাবে বলবেন, রাজ্য সরকার পাশে থাকবে।
মমতা আরও বলেন, অমর্ত্য সেন বাংলার গর্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদক চুরি হয়ে গিয়েছে। সিবিআই তদন্ত করেছে। অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাদার তেরেসা— সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের চেনেন। তারা কী আদর্শ নিয়ে কথা বলবেন, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু শুধু মাত্র তাকেই (অমর্ত্যবাবু) নয়, আরও অনেকেই টার্গেট করা হচ্ছে।