জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিশ্ব ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপকে যৌথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামির পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ কথা বলেন।
নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে উভয় দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যৌথ প্রচেষ্টা নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র। শুরু থেকেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, যা কালের পরিক্রমায় বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসা, কারিগরি, প্রযুক্তিসহ উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন অনেক উন্নতমানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্যসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে, এতে দুই দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় থাকার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
মালদ্বীপের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার করোনাকালে মালদ্বীপে চিকিৎসক দল পাঠানোসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।