ফিরে দেখা ২০২০: দেশ-বিদেশের ক্রীড়াজগত

ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া সরঞ্জাম
ফাইল ছবি

দুয়ারে নতুন বছর। বিভিন্ন কারণে ২০২০ সাল মহাকালের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া, মৃত্যুর মিছিল, ভ্যাকসিনের প্রত্যাশা ইত্যাদি এ বছর ছিল আলোচিত বিষয়। বিশে বিষময় এমন একটি বছরে করোনা ভাইরাস ছাড়াও বেশ কিছু ঘটনা আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে বছরের বিভিন্ন সময়। আমাদের অর্জন, হতাশা, বেদনা, প্রাপ্তি, প্রত্যাশা পূরণের সেই ঘটনাগুলো আরেকবার দেখে নিতেই এই আয়োজন। এই পর্বে থাকছে দেশ-বিদেশের ক্রীড়াজগতের আলোচিত কিছু ঘটনা। গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন ফয়জুল আল আমীন

এশিয়া কাপ
এশিয়া কাপ ২০২০। ফাইল ছবি

এশিয়া কাপ বাতিল

universel cardiac hospital

করোনা সংক্রমণের জেরে বাতিল হয়ে যায় এশিয়া কাপ। ৮ জুলাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী নিশ্চিত করেছেন এই খবর। এশিয়া কাপ আয়োজনে এবার মরিয়া ছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার চেষ্টা চালাচ্ছিল আয়োজক পিসিবি। এশিয়া কাপে গত দুই আসরেই ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। কিন্তু দুইবারই ভারতের কাছে হেরে যায় টাইগাররা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর ভারতে, পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ফাইল ছবি

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে  ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দুই বছর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। আইসিসির আগের সূচি অনুসারে ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। বতর্মান সূচি অনুসারে এক বছর আগেই ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। আর ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের এ বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় তা বাতিল হয়ে যায়।

২০২১ সালের দুটি বিশ্বকাপ বাতিল করল ফিফা

ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা বিশ্বকাপ। ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়ে ফের হুঙ্কার ছাড়ছে মহামারি করোনা ভাইরাস। বিষয়টি মাথায় রেখে ২০২১ সালের দুটি বিশ্বকাপ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা। ২৬ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, করোনার প্রকোপ না থামলে ইন্দোনেশিয়ায় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ এবং পেরুতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট দুটি ২০২৩ সালের আগে আয়োজন করা অসম্ভব।

স্থগিত শুটিং বিশ্বকাপ

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে খেলাধুলার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসর বাতিল অথবা স্থগিত হয়ে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ৬ মার্চ স্থগিত হয় শুটিং বিশ্বকাপ। ১৫-২৫ মার্চ টোকিওতে ডক্টর কারনি সিং শুটিং রেঞ্জে হওয়ার কথা ছিল এই প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতিমূলক ইভেন্টও দিল্লিতে হওয়ার কথা ছিল ১৬ এপ্রিল থেকে। কিন্তু এ প্রতিযোগিতাও বাতিল করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন (আইএসএসএফ)।

এশিয়ান ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল

এশিয়ান ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপও বাতিল হয়ে গেছে করোনা ভাইরাসের কারণে। উজবেকস্তানে ১৮-২৫ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল এই প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার কথা ছিল মাবিয়া আক্তার, জিয়ারুল ইসলামের।

আইসিসির দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে অলরাউন্ডার সাকিব

সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি

আইসিসির দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গত এক দশকের পারফরম্যান্স বিবেচনায় রবিবার দশকসেরা ওয়ানডে একাদশ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।

শতাব্দী সেরা ফুটবলার হলেন রোনালদো

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি : ইন্টারনেট

গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের একবিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২৭ ডিসেম্বর দুবাইয়ে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একবিংশ শতাব্দীর তথা ২০০১ থেকে ২০২০ সালের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় পর্তুগীজ তারকার হাতে। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে। পেছনে ফেলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা মোহাম্মদ সালাহ ও এক সময়ের তারকা ফুটবলার রোনালদিনহোকে।

পেলের রেকর্ড ভাঙলেন মেসি

মেসি
মেসি। ফাইল ছবি

এক ক্লাবের হয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির। রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে গত সপ্তাহেই পেলের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন মেসি। সান্তোসের হয়ে পেলের করা ৬৪৩ গোলের রেকর্ডটা এত দিন সবার নাগালের বাইরে বলেই মনে হচ্ছিল। বার্সেলোনার হয়ে ৬৪৪ গোল করার পর স্বয়ং পেলে মেসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু পেলের সাবেক ক্লাব সান্তোসের দাবি, পেলের রেকর্ড এখনো ভাঙতে পারেননি মেসি। সাদকালো জার্সিতে পেলের গড়া রেকর্ড ভাঙতে আরও বহুদূর পথ পাড়ি দিতে হবে মেসিকে।

বছরটি যেমন কেটেছে টাইগারদের 

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফাইল ছবি

২০২০ সালে তিন ফরম্যাটে মাত্র ৯টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলছেন রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি ওয়ানডে, ২টি টেস্ট এবং ৪টি টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডেতে শতভাগ জয় থাকলেও টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে জয়ের হারটা ঠিক পঞ্চাশ শতাংশ।

খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে না পারলেও এ বছরটা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ডানহাতি ওপেনার লিটন কুমার দাসের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কেননা ২০২০ সালে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক হয়েছেন এই ড্যাশিং ওপেনার। লিটন দাস এক ইনিংসে করেছেন ১৭৬ রান। পুরো বিশ্বে এই বছর ওয়ানডেতে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি কেউ। দ্বিতীয় অবস্থানে আরেক বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। এক ইনিংসে তার সংগ্রহ ১৫৮ রান। ২০২০ সালে ওয়ানডে ম্যাচে লিটন-তামিম ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান ১৫০ রানও করতে পারেনি।

লিটন-তামিম জুটি আরেকটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ২৯২ রান তুলেন তারা। এ বছর ওয়ানডেতে তিনটি ম্যাচের সবকটিই জয় পেয়েছে টাইগাররা। ৩-০ তে সিরিজ জিতে সফররত জিম্বাবুয়েকে করে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন লিটন দাস। ১৫৫.৫০ গড়ে তিন ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৩১১ রান। বল হাতে মাত্র দুই ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মুমিনুল হকের দল। একটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস এবং ৪৪ রানে হারে টাইগাররা। অন্যটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস এবং ১০৬ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।

২০২০ সালে পাকিস্তান এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইটি করে মোট চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। গাদ্দিফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই পরাজিত হয় বাংলাদেশ। অন্য দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে যথাক্রমে ৪৮ রান এবং ৯ উইকেটে হারায় রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। ফাইল ছবি

দীর্ঘদিন অলস সময় কাটানো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে প্রেসিডেন্টস কাপের আয়োজন করে বিসিবি। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধনী মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

চলতি বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে জমজমাট আসরটি হলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। নভেম্বরের ২৪ তারিখে মিনিস্টার রাজশাহী-বেক্সিকো ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ৫টি দলের এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘটে। ১৮ ডিসেম্বরে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে জেমকন খুলনা।

করোনায় বড় ক্ষতি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
ফাইল ছবি

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বড় ক্ষতি হয়ে গেল ক্রীড়াঙ্গনের। করোনায় বাতিল হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপসহ একাধিক সিরিজ। ফুটবল-হকিসহ অন্যান্য ইভেন্টের অনেক আন্তর্জাতিক, ফ্রাঞ্চাইজি এমনকি ঘরোয়া প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়ে গেছে।

২০০০ সাল থেকে ক্রিকেট বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ৪৫টি টেস্ট ও ১৩৫টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অথচ এ বছর সব দল মিলে ২৫টি টেস্ট এবং ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। ১৯৮০ সালের পর এই প্রথম এত কমসংখ্যক ম্যাচ দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে আশার কথা হলো গত ৮ জুলাই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়েই করোনাকালীন খেলা শুরু হয়েছে।

পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে আরও খারাপ না হলে নতুন বছরে প্রতিটি দেশই হয়তো পুরোদমে খেলাধুলার আয়োজন করবে। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এ বছরই রেকর্ডসংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা ছিল টাইগারদের কিন্তু করোনায় সেই সুযোগ নষ্ট হয়ে গেছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। জুনে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। জুলাই মাসে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল শ্রীলংকায়। এরপর আগস্টে দুই টেস্ট খেলতে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। করোনায় এতগুলো সিরিজ বাতিল হয় যাওয়ায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ক্রিকেট বোর্ডের রাজস্ব আয়ের ৫০ ভাগই আসে আইসিসির টুর্নামেন্ট থেকে। সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় তা স্থগিত হওয়ায় দেশের ক্রিকেটের কোষাগারে বড় ধাক্কাই লাগে। শুধু তাই নয়, খেলা না হওয়ায় মাঠের স্পন্সরের পাশাপাশি জার্সির স্পন্সর থেকে রাজস্ব আয় বঞ্চিত বিসিবি। এখন দেখার বিষয় নতুন বছরে এ ক্ষতি কতটা পুষিয়ে নিতে পারে ক্রিকেট বোর্ড।

বাফুফে
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মতো অন্যান্য ফেডারেশনও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপও ছিল কিন্তু করোনায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। গত নভেম্বরে ফিফার অনুমতিসাপেক্ষে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে বাফুফে। দ্বিপাক্ষিক সেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।

জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। তারা ঢাকার মাঠে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে অংশ নেবে।

আকবরের ব্যাটে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

অধিনায়ক আকবর আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। ০৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৭ রানে অলআউট হয় ভারত। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল।

অধিনায়ক রিয়াদের দুই শিরোপা অর্জন

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পঞ্চপাণ্ডবের একজন হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের প্রয়োজনে নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার। রিয়াদকে বলা হয় ‘সাইলেন্ট কিলার’।

রিয়াদের দুই শিরোপা অর্জনের বছর। ফাইল ছবি

করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্টস কাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্রিকেট পুনরায় শুরু হয়। সংক্ষিপ্ত পরিসরে দেশীয় ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে এই টুর্নামেন্ট মাত্র ৩টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক দলের অধিনায়কের নাম ব্যবহার করে দলের নাম ওেয়া যথাক্রমে তামিম একাদশ, মাহমুদউল্লাহ একাদশ এবং নাজমুল একাদশ। ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুমন খানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় নাজমুলদের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের ৬৮ রানের সুবাদে ৭ উইকেট হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহরা।

দলনেতা হিসেবে যে মাহমুউল্লাহ রিয়াদ আসলেই সেরা, প্রেসিডেন্ট কাপের পর ফের একবার সেটার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে জেমকন খুলনার নেতৃত্ব দেন এই ক্রিকেটার। গ্রুপ পর্ব শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকে খুলনা। ফাইনালে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে খুলনা। কিন্তু অধিনায়কের ৪৮ বলের ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫০ রানে থেমে যায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ইনিংস। আর তাতেই ৫ রানের জয় নিয়ে চলতি বছর আরেকবার চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মাহমুউল্লাহ রিয়াদ।

শেয়ার করুন