সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে প্রথম নারী হিসেবে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমিন। সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম ও কোষাধ্যক্ষ পদে শাহেদ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন, সদস্য -১ আয়ুব ভূইয়া, সদস্য -২ জাহিদুজ্জামা ফারুক, সদস্য -৩ ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, সদস্য -৪ রহমান মুস্তাফিজ, সদস্য – ৫ রেজানুর রহমান, সদস্য -৬ শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, সদস্য -৭ সৈয়দ আবদাল আহমদ, সদস্য -৮ কাজী রওনা হোসেন, সদস্য -৯ বখতিয়ার রানা ও সদস্য -১০ শাহনাজ বেগম পলি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে ১ হাজার ১৫১ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৮৬ দশমিক ৮৮ ভাগ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনে ফরিদা ইয়াসমিন-ওমর ফারুক পরিষদ ও সবুজ-ইলিয়াস পরিষদ নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মোট ৩৪ জন ১৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া কয়েকটি পদে প্যানেলের বাইরে আরও সাতজন প্রার্থী ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি প্রার্থী ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক।
সবুজ-ইলিয়াস পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
একনজনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট প্রাপ্তির ফলাফল
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের প্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৫৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুক পেয়েছেন ৩৯৩ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৪১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন হাসান হাফিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া ৩৬৭ ও রাশেদ চৌধুরী ১৭৯ ভোট পান।
সহ-সভাপতি পদে ৬১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রেজোয়ানুল হক রাজা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার হাসনাত করিম পেয়েছেন ৩৪০ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে ৫৭৭ ভোট পেয়ে মাইনুল আলম ও আশরাফ আলী ৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল আহসান ৩১৫ ভোট, কল্যাণ সাহা ২৫২ ভোট এবং সৈয়দ আলী আসফার ২১০ ভোট পান।
১০টি সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- আইয়ুব ভুঁইয়া (৫৪৪), রেজানুর রহমান (৪৭৪), কাজী রওনাক হোসেন (৪৫৫), জাহিদুজ্জামান ফারুক (৪৪৩), শাহনাজ বেগম পলি (৪৩০), সৈয়দ আবদাল আহমেদ (৪২১), শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা (৪২০), ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী (৪১১), রহমান মোস্তাফিজ (৩৭৯) এবং বখতিয়ার রানা (৩৬৮)।