নামাজে যাওয়ার পথে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের গুলিতে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

নিহত মোহাম্মদ উসমান সিকদার (৩৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্ৰামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

universel cardiac hospital

এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাবরাং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। ছাত্রলীগ থেকে সদ্য সাবেক হয়ে তিনি যুবলীগের দায়িত্ব পান।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলতান মাহমুদ জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একটি ইজিবাইক (টমটম) চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করেন উসমান শিকদার। এ সময় সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ অতর্কিতভাবে উসমান সিকদারের ওপর হামলা চালান।

‘ওই ঘটনায় উসমান সিকদার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দেন। ওই ঘটনার সূত্র ধরেই শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা তার গতিরোধ করে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি করেন।’

গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই উসমান শিকদার মারা যান। তার শরীরের তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা ইয়াবা ও মানব পাচারকারী তালিকাভুক্ত। তাদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ওসি হাফিজুর রহমানসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

শেয়ার করুন