জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বরণে করে নেয়া হয়েছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২১ সালকে। অন্যান্যবার জমকালো এসব আয়োজনে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিলেও এবার তেমনটা ছিল না। করোনাভাইরাসের কারণে নানা বিধি নিষেধ থাকায় এবারে আয়োজনের রঙ ছিল অনেকটাই ফিকে। তারপরেও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কমতি ছিল না কোনো কিছুর।
বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে সবার আগে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ডবাসী। স্থানীয় সময় রাত ১২টা এক মিনিটে হরেক রঙের আলোয় উদ্ভাসিত হয় অকল্যান্ডের আকাশ।
খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে জমকালো আয়োজন হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হার্বার ব্রিজে। আনন্দ মেতে ওঠে সেখানকার বাসিন্দারা। ভালো কিছুর কামনার পাশাপাশি নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। আতশবাজির বর্ণিল আলোকছটায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চীন, রাশিয়া, জার্মানিসহ আরও অনেক দেশ।
ঘড়ির কাটায় ১২টা এক মিনিট বাজতেই বর্ষবরণ উৎসবে মেতে ওঠে নিউজিল্যান্ডবাসী। সর্বদক্ষিণ মেরুতে অবস্থান হওয়ায়, পুরো দুনিয়ায় সবার আগে নিউজিল্যান্ডেই শুরু হয় নতুন বছরের উদযাপন। আতশবাজির বর্ণিল আলোকছটায় ছেয়ে যায় অকল্যান্ডের পুরো আকাশ। দর্শনীয় এ আতশবাজি উপভোগ করতে বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষের ঢল নামে সেখানে।
এর ঘণ্টা দু’য়েক পরই নতুন বছরের উদযাপন শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। করোনার বাধা সত্বেও সিডনির হার্বার ব্রিজে আয়োজন করা হয় জমকালো আতশবাজি প্রদর্শনীর। ঐতিহ্যবাহী এ আতশবাজি উপভোগ করতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এসময় সেখানে হাজির হন অনেকে। ছিলেন দেশি বিদেশি বহু পর্যটক।
বর্ষবরণে বর্ণিল সাজে সেজেছে হংকং শহরও। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এদিন হংকংয়ের রাস্তায় জড়ো হয় মানুষ। রাত ১২টা এক মিনিট বাজতেই বর্ণিল আলোকছটায় ছেয়ে যায় পুরো হংকং শহর।
জমকালো আতশবাজি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ২০২১ সালকে স্বাগত জানায় দুবাই। চোখ জুড়ানো এ আতশবাজি উপভোগ করতে দুবাইয়ের রাস্তাঘাটে জড়ো হন হাজারো পর্যটক।
বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয় তাইওয়ানেও। নতুন বছর উদযাপনে তাইপেই শহরের ঐতিহ্যবাহী দেড় হাজার ফুট উঁচু টাওয়ার জুড়ে বর্ণিল আলোকসজ্জার পাশাপাশি ছিল মনোমুগ্ধকর আতশবাজির প্রদর্শনীও।
এছাড়াও ২০২১ সালকে বরণ করে নিতে চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী ছিল, উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ং, রাশিয়ার মস্কো, জার্মানির বার্লিনসহ এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সেইসঙ্গে, বর্ষবরণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে অন্যান্য বার জমকালো আয়োজনে উৎযাপন করা বর্ষবরণে লোকসমাগম প্রচুর থাকলেও এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যাটা অনেক কম ছিল। নতুন বছরে পৃথিবী যেন করোনামুক্ত হয় সেই প্রত্যাশা করেন সবাই।