ট্রায়াল শেষের আগেই নিজেদের টিকার অনুমোদন দিলো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কোভ্যাক্সিন

ভারতের হায়দারাবাদ ভিত্তিক ‘ভারত বায়োটেকের’ তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভিজি সোমানি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে টিকা অনুমোদনের এই ঘোষণা দেন।

বিবিসি ও প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, শনিবার যে কোভ্যাক্সিন টিকাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি। মোট ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপরে তৃতীয় পর্যায়ের ‘এফিকেসি ট্রায়াল’ চলার কথা, কিন্তু গত সপ্তাহ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক নথিভুক্ত হয়েছেন ১৩ হাজারের মতো।

universel cardiac hospital

ভিজি সোমানি বলেন, স্থানীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক্সের টিকা ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ‘নিয়ন্ত্রিত জরুরি ব্যবহারের’জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এই দুটি টিকাই নিরাপদ। নিরাপত্তার ব্যাপারে সামান্যতম উদ্বেগ থাকা কোনো কিছু আমরা কখনো অনুমোদন করবো না। এই টিকাগুলো শতভাগ নিরাপদ।

যদিও ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, তৃতীয় ধাপ বা চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগেই টিকাটি দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অথচ এই ধাপের পরীক্ষার পরই টিকার প্রকৃত কার্যকারিতা ও রোগীদের শরীরের জন্য নিরাপদ কিনা তা জানা যায়। কিন্তু ভারত এর চূড়ান্ত কার্যকারিতা প্রমাণের আগেই ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

ভারত বায়োটেকের টিকার সঙ্গে যুক্ত ফার্মাকোলজির অধ্যাপক সবিতা ভার্মার অবশ্য বলেছেন, প্রাথমিক ট্রায়াল পর্যায়েই কোভ্যাক্সিন টিকার ভালো কার্যকারিতা দেখা গেছে। তবে ভারতে কোনো টিকার তৃতীয় পর্যায়ের সবচেয়ে বড় ট্রায়াল চালানোর কথা বলছে ভারত বায়োটেক।

অধ্যাপক সবিতা ভার্মা জানান, আগামী মার্চ মাসে এই ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে।

ভারত বায়োটেকের করোনার টিকাটির নাম ‘কোভ্যাক্সিন’। তিনটি ট্রায়াল ধাপের মধ্যে দুটি সম্পন্ন করেছে কোভ্যাক্সিন। টিকাটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল গত নভেম্বরে শুরু করে ভারত বায়োটেক। এখনো এই ধাপের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। তিনটি ট্রায়ালের পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বিত বিশ্লেষণই হলো টিকার কার্যকারিতা তথ্য।

বিশ্বের তৃতীয় দেশে হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল ভারত। এর আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর এবং পরে আর্জেন্টিনাতেও অনুমোদন পায়। চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে যাওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার।

শেয়ার করুন