পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্প আগামী বছরের জুনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
১২ বছর ক্ষমতায় থেকে মানুষকে কী দিতে পেরেছে আওয়ামী লীগ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের যে দায়িত্বটি আমি পালন করছি সেখানে তিনটি মেগা প্রজেক্ট আছে, সেগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে। সবগুলো আগামী বছর উদ্বোধন করতে পারব, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন। ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন মূল চ্যালেঞ্জ। করোনা সারাবিশ্বকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিকে করোনা মোকাবিলা করছি এবং অর্থনীতি সচল রেখেছি। ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ জায়গায় আছে। সবদিক থেকে আমরা আগাচ্ছি, ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে আগাচ্ছি। করোনার জন্য অনেকে কাজ হারিয়েছে বেকার হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসন করা এবং কাজ দেয়া একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের ইশতেহারে আছে বেকারদের কর্মসংস্থান।
‘পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত আছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন- জানুয়ারির শেষনাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে। একটি সরকার এত বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, ফলে অসম্পূর্ণ কাজ করতে পারছে। আমাদের দেশে এক সরকার গেলে অন্য সরকার সেটি বাতিল করে। এমনও হতে পারে আওয়ামী লীগ করেছে বলে পদ্মা সেতু ভেঙে দেই। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় থাকতে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।’
কাদের বলেন, আজ সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতিচারণ করছি। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রতি আস্থাশীল ছিলেন, তিনি দলের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমি আজ তাকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ অসুস্থ, তিনি আমার এলাকার মানুষ। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।