ফল পাল্টাতে জর্জিয়ার কর্মকর্তাকে চাপ, ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁসে তোলপাড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কর্মকর্তাকে ভোট খুঁজে বের করতে বলেছেন বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্দেশ না মানলে অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন বলেও সেই কর্মকর্তাকে হুশিয়ারি করে দেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের ফোন কলের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে যেখানে এসব কথা তাকে বলতে শোনা যায়।

শনিবারের এই ফোন কলে জর্জিয়ায় নির্বাচনের ফলাফল বদলানোর চেষ্টা করেন ট্রাম্প। এই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে ১১ হাজার ৭৭৯ ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করেছেন বাইডেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। কয়েকটি রাজ্যে ফলাফল বদলানোর চেষ্টা করেও তিনি সফল হননি।

universel cardiac hospital

জর্জিয়ায় একাধিকবার অডিট ও নির্বাচনের ফলাফল পুনরায় গণনা করা হয়েছে। এরপরেও সেখানে বাইডেনের বিজয়ই নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি সিনেটে এই ফলাফল অফিসিয়ালভাবে অনুমোদন লাভ করবে তা প্রায় নিশ্চিত।

তবুও ট্রাম্প তার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছেন। ফোন কলে রিপাবলিকান সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড র‍্যাফেনস্পারজারকে তিনি বলেন, ‘অতএব দেখুন। আমি শুধু এটি করতে চাই। আমি শুধু ১১ হাজার ৭৮০টা ভোট খুঁজে পেতে চাই, যা আমাদের এখনকার চেয়ে একটি বেশি। কারণ আমরা অঙ্গরাজ্যে জিতেছি।’

ট্রাম্প র‍্যাফেনস্পারজারকে আরও বলেন, ‘জর্জিয়ার জনগণ রেগে আছে, দেশের জনগণও রেগে আছে…এটা বলতে কোনো সমস্যা নেই যে, আপনি জানেন, আপনি আবার গুণেছেন।’ জবাবে র‍্যাফেনস্পারজার বলেন, ‘জনাব প্রেসিডেন্ট, আপনার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আপনার কাছে যে ডেটা আছে সেটা ভুল।’

গত ৩ নভেম্বরে নির্বাচনের পর থেকে ট্রাম্প র‍্যাফেনস্পারজারকে নির্বাচন নিয়ে বারবার আক্রমণ করেছেন। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তিনি দাবি করে আসছেন অঙ্গরাজ্যের ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট বাইডেনকে ভুলভাবে দেয়া হয়েছে।

শনিবারের কলে ট্রাম্প র‍্যাফেনস্পারজারকে একটি ‘বাচ্চা’ এবং ‘অসৎ অথবা অযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও ফোন কলে ছিলেন যাদের মধ্যে রয়েছে চিফ অফ স্টাফ মার্ক মেডোস ও রক্ষণশীল আইনজীবী ক্লেটা মিচেল। এছাড়া র‍্যাফেনস্পারজারের সাধারণ পরামর্শক রায়ান জার্মানিও সেই কলে ছিলেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির ও মেডোস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে সাড়া দেননি। র‍্যাফেনস্পারজারের কার্যালয় মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

শেয়ার করুন