হাস্যকর চরিত্রে পরিণত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওবায়দুল কাদের-রুহুল কবীর রিজভী
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘হাস্যকর চরিত্রে পরিণত হয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও মন্ত্রী, বিশেষ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মনগড়া বক্তব্য দেয়াকেই নিজেদের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কারণে- অকারণে প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার জনগণের কাছে ওবায়দুল কাদেরকে একটি হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছে।’

universel cardiac hospital

তিনি আরও বলেন, ‘এটি তিনি বুঝতে পারছেন বলে মনে হয় না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গণভবনের চার দেয়ালে আটকে পড়া শেখ হাসিনা কিংবা র্যাব-পুলিশের পাহারায় টিকে থাকা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বুঝতেই পারছেন না যে, তারা এখন গণদুশমনে পরিণত হয়েছেন। তাই অযথা বিএনপির বিরুদ্ধে বালখিল্যসুলভ মন্তব্য করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো কাজ নেই।’

রিজভী বলেন, ‘আপনাদের অনেকেই হয়তো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার একটি বক্তব্য শুনেছেন। ৩১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে পৌরসভার বটতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমপিরা নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক, পালানোর দরজাও খুঁজে পাবেনা।’ আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, আব্দুল কাদের মির্জার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা না খুঁজে ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজের আপন ছোট ভাইয়ের বক্তব্যটির গুরুত্ব অনুধাবন করবেন। আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- নির্বাচন কমিশনকে কোলের মধ্যে বসিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের নামে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’

রিজভী বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা ধন্য রাজনৈতিক দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনা করবে। এটাই হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র। কিন্তু নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকারটি এখন সম্পূর্ণ র্যাব-পুলিশ এবং প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়েছে।’

শেয়ার করুন