আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে মূল্যস্ফীতি বা জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির হার বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ২০১৮ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
অবশ্য মাসের হিসাবে সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার আগের মাসের চেয়ে কমেছে। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল গত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গেল বছর নিত্যপণ্যের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দর সবচেয়ে আলোচিত ছিল। চালের দাম এখনও ক্রেতাদের ভোগাচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমছে।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে একনেক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ২০০৫-০৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর (১০০ পয়েন্ট) ধরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ( বিবিএস) মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান তৈরি করে।
পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি হচ্ছে আগের বছরের নির্দিষ্ট কোনো মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের তুলনায় পরের বছরের একই মাসে ওই সূচক যতটুকু বাড়ে তার শতকরা হিসাব। অন্যদিকে ১২ মাসের পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির গড় করে গত এক বছরের গড় পরিসংখ্যান বের করা হয়। খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্য নিয়ে বিবিএস মূল্যস্ফীতির হিসাব করে থাকে।
গড় মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় অর্থবছরের ভিত্তিতে। চলতি অর্থবছরে এটি সাড়ে ৫ শতাংশে সীমিত রাখার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এবার সর্বাধিক মূল্যস্ফীতি হয় গত অক্টোবর মাসে ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাবে ডিসেম্বরে খাদ্যসূচকে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। নভেম্বরে এ সূচকে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে খাদ্যপণ্যে কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত সূচকে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ২১ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।