স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে ১৩৭ পৃষ্ঠার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে সোমবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন (ইইউএ) দিয়েছেন।
এদিকে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে ব্যবহারের আর কোনো বাধা থাকছে না।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের টিকা সরবরাহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী এখন সেরাম ইনস্টিটিউটকে ধাপে ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে হবে।
অন্যদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) জানিয়েছে, আপাতত তারা শুধু ভারত সরকাকেই করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। কোনো দেশে রপ্তানি করতে পারবে না।
তবে সেরামের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ভারত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কথা হয়েছে। এখানে সেরামের বক্তব্য কোনো বিষয় নয়। যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।