আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা তার ‘সত্য বচন’ অব্যাহত রেখেছেন। বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পথসভায় নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে আবারও নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তিনি।
আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, ফেনীর ফুলগাজীর জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে গুলি করে, গাড়িতে ঢুকিয়ে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। যে হত্যা করেছে সে আওয়ামী লীগের বড় নেতা ও এমপি। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। আমাকে জেলে দিলে, বহিষ্কার করলে, মেরে ফেললেও আমি সত্য কথা বলে যাব।
তিনি বলেন, আমি কোম্পানীগঞ্জে পরীক্ষা নকলমুক্ত করেছি। এটা সারাদেশ অনুসরণ করেছে। আগামী বসুরহাট পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করে আমি সব দলের নেতাদের দেখিয়ে দেব গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার কাকে বলে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করব ইনশাআল্লাহ।
আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু করছেন। বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন, বিশ্বে রোল মডেল হয়ে থাকবে। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, পুল-কালভার্ট, মক্তব-মাদ্রাসা; এমন কোনো জায়গা নেই, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন করেননি। আমাদের পৌরসভার কাজগুলো তার সহযোগিতায় আমরা করছি। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে ভোটাধিকার হরণ করেছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে এলাকার উন্নয়ন এবং সৎ ও একনিষ্ঠ রাজনীতির কারণে মানুষ তাকে পছন্দ করেন বলে উল্লেখ করেন ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, দুই বছর আগে আমরা গ্যাস পেতাম। আমাদের সেতুমন্ত্রী পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে আমাদের এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিতে বলেছেন। কিন্তু ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ভায়রা ভাই ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আমাদের এলাকায় গ্যাস আনতে দেন নাই। তিনি নেত্রীকে বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিলে অন্য মন্ত্রীদের এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। আমাদের এলাকায় গ্যাস এলে সেতুমন্ত্রীর জনসমর্থন বাড়বে- এটা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী চাননি। কারণ তিনি মওদুদ সাহেবের ভায়রা ভাই।
কাদের মির্জা বলেন, আমরা কত অসহায়! আমাদের সিরাজপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর ও শাহজাদপুরে গ্যাস পাওয়া গেছে। একরাম চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে এ গ্যাসক্ষেত্রের নাম রেখেছেন সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র। অথচ সুন্দলপুর কবিরহাট উপজেলার একটি ইউনিয়ন, যেখানে একরাম চৌধুরীর বাড়ি।
কাদের মির্জার নির্বাচনী পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।