ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে এর আগে ১৮১৪ সালে হামলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে যুদ্ধের সময়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর এ যুদ্ধ ‘ওয়ার অব ১৮১২’ নামে পরিচিতি। এ যুদ্ধ শুরু হয় ১৮১২ সালের জুন মাসে; শেষ হয় ১৮১৫ সালে। আর সেই যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনী হামলা করেছিল। ইউএস ক্যাপিটল হিস্ট্রি সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার সেই ঘটনার ২০৬ বছর পর এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল খোদ মার্কিনদের হাতেই। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেই সঙ্গে দেশটির দুই প্রধান দলের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েই যাচ্ছেন।
সমালোচনায় শামিল হয়েছেন বিশ্বনেতারা। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে যখন নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বীকৃতি দেওয়ার কাজ চলছিল, তখনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা হামলা চালায়। এর আগে জর্জিয়ায় সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির দুই প্রার্থী হেরে যান।
ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল স্যার আলেকজান্ডার কুকবার্ন এবং মেজর জেনারেল রবার্ট রসের নেতৃত্বে ১৮১৪ সালের আগস্ট মাসে ক্যাপিটল ভবনে হামলা হয়। তখন ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর ভবনটি তখন নির্মাণাধীন ছিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো, সে সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই আগুন বেশি ছড়ায়নি।
সে সময় যুক্তরাজ্যের উপনিবেশের অধীন ছিল কানাডা। আর আপার কানাডার রাজধানী ইয়র্কে মার্কিন হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিশোধ নিতেই ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ বাহিনী এ হামলা চালায়।
শুধু ক্যাপিটল ভবন নয়, হোয়াইট হাউসসহ ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন জায়গায় এ হামলা চালায় ব্রিটিশ বাহিনী।
তবে ট্রাম্প–সমর্থকদের এবারের হামলা কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ছিল না। তাই এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র।
ইউএস ক্যাপিটল হিস্ট্রি সোসাইটি হামলার পর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউএস ক্যাপিটল শুধু একটি ভবন নয়, এটি মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তি। এখানে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর আমাদের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রের মৌলিক স্মারক।’