চারিদিকে বারুদের গন্ধ, আমাকে মেরে ফেলতে পারে: ওবায়দুল কাদেরর ভাই

নোয়াখালী প্রতিনিধি

আবদুল কাদের মির্জা
আবদুল কাদের মির্জা। ফাইল ছবি

আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, চারিদিকে বারুদের গন্ধ, অস্ত্র তাক করে রেখেছে। আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমাকে মেরে ফেললে আপনারা জানাযা পড়ে মাটি দিয়ে আসবেন।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার ৫, ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

universel cardiac hospital

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‌জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি এ বাঙালি জাতির জন্য ৩০ বছর আন্দোলন করেছেন, ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন, তিনবার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। সেই নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা যে যে দল করেন, শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করেন, আওয়ামী লীগকেও অপছন্দ করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবেন, না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে পরিচিতি পাবো।

তিনি বলেন, আমাদের পোষ্টার মাইজদী ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিড়ে ফেলেছে। বিএনপি, জামায়াত আমার পোষ্টার ছেড়ে নাই। আমি আবরও বলছি বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩-৪টি আসন পাবে। বাকী আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরে যাবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। আমাকে এ কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে হবে।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। আমাদের সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর ও হাবিবপুর থেকে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে দেওয়া হয়। ৩ মাস পর আমরা গ্যাস না ফেলে শাহজাদপুর ও হাবিবপুরে গিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দেব। আমি প্রথমে আমার কোম্পানীগঞ্জের স্বার্থ দেখব, বাকিটা পরে দেখা যাবে।

তিনি বলেন, এদেশে সোজা আংগুলে ঘি ওঠে না, আংগুল বাঁকা করতে হয়।’ মির্জা বলেন, ‘আমার নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে চাই- যদি কাগজে লেখ নাম, সে নাম মুছে যাবে, পাথরে লেখ নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখ নাম, সে নাম রয়ে যাবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার নাম আপনাদের হৃদয়ে লিখে রাখবেন এবং আমাকে ভোট দিবেন।

শেয়ার করুন