ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বহুল আলোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে একেবারে শেষ সময়ে এসে তিনি যা করেছেন তা সব বিতর্ককে ছাপিয়ে গিয়েছে। তার উগ্র সমর্থকরা দেশটির পার্লামেন্টে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে। শুরুতে সমর্থকদের কষ্ট বুঝেন বলে বার্তা দিলেও দিনশেষে সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়েছেন ট্রাম্প। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, দাঙ্গা দেখে ক্ষিপ্ত এবং সব বুঝিয়ে দিতে চাই।
ক্যাপিটলে তার সমর্থকরা তাণ্ডব চালানোর পর থেকে গোটা বিশ্ব কাঠগড়ায় তুলেছে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সেই ক্ষতে এ বার প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন খোদ ট্রাম্প। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলে এক ভিডিও বার্তাতে শান্তির বার্তা দিলেন তিনি। ‘আরোগ্য এবং পুনর্মিলনের’ জন্য সকলের কাছে আবেদনও করেছেন ট্রাম্প।
টুইটারে ১২ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর প্রায় ৩ মিনিটের ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার এখন লক্ষ্য মসৃণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রশাসন কাজ শুরু করবে। তার আগে আমি সব বুঝিয়ে দিতে চাই।’
ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ক্যাপিটলের তাণ্ডব নিয়ে চাপ বাড়ছিল ট্রাম্পের উপর। বিভিন্ন মহল থেকে তাকে ইমপিচমেন্টের দাবিও তোলা হচ্ছে। এই আবহেই অবশেষে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প।
ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেছেন, ‘হিংসা, আইনঅমান্য এবং দাঙ্গা দেখে আমি ক্ষিপ্ত। যারা হিংসার সঙ্গে যুক্ত তারা আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করেন না। আমেরিকা আইন মেনে চলে।’ ক্যাপিটল বিল্ডিংকে সুরক্ষিত রাখতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় নিযুক্ত আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল শেরউইন ইতিমধ্যেই ক্যাপিটল হামলার ঘটনা নিয়ে ১৫টি মামলা দায়ের করেছেন উন্মত্ত ট্রাম্প সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ‘হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যত সংখ্যক মামলা করা যায় আমরা করব।’
এই হামলার ঘটনার পর ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই অনেক রিপাবলিকানও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের কথা তুলেছিলেন। প্রেসিডেন্ট সময়কালের শেষ মুহূর্তে এসে বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন ট্রাম্পও।