আবার কমতে শুরু করেছে সোনার দাম। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, বিনিয়োগকারীরা সোনা থেকে পুঁজি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে আউন্সপ্রতি সোনার দাম একসময় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে কয়েক দিন ধরে টানা পড়ছে সোনার দর। গতকাল এই প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে সোনার দাম ছিল আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৮৪৯ ডলার। আগের দিনের চেয়ে যা প্রায় ৬৫ ডলার ও ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ কম।
লকডাউনের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই সাময়িকভাবে থমকে গিয়েছিল। সেই অনিশ্চয়তার সময় বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ সরাতে থাকেন। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে দামও চড়তে থাকে ধাতুটির। কিন্তু এখন অবস্থা অনেকটাই বদলেছে। বাড়ছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগ সফল হলে তা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, এই পরিস্থিতিতে আবার মাঠ বদলাতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজার, ঋণপত্র, বিদেশি মুদ্রা, এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও ঝুঁকছেন তাঁরা। তাই সোনার চাহিদা কমতে শুরু করেছে। বাজারে জোগান বাড়ায় কমছে দামও।
বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশের বাজারেও গত বছর কয়েক দফায় সোনার দাম বেড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হ্রাস পাওয়ার কারণে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমবে আশা করা যায়।
সোনার দাম বাড়ার কারণে সারা বিশ্বেই সোনার চাহিদা কম। তাই লকডাউন ও সোনার চড়া দামের ফলে কোণঠাসা গয়না ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, ক্রেতারা হয়তো আরও কিছুটা সময় নেবেন, অপেক্ষা করবেন দাম আরও কমে কি না।