করোনার টিকাদানে ৭ হাজার ৩৪৪ টিম, থাকবে কঠোর তদারকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা একত্রে ১৪ কোটি ডোজ আনা হলেও তা সংরক্ষণের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কঠোর তদারকি করা হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই দেশে ৪-৫কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগে কোনো সমস্যা হবে না।

ভ্যাকসিন প্রদানে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে ৫-১০টি আইস ফ্রিজার আছে যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে।

টিকা প্রদানে অনিয়ম রোধে কঠোর নজরদারির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানে কোনো অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।

তিনি বলেন, টিকা প্রয়োগের জন্য প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

একইসঙ্গে সরকারিভাবে টিকা প্রদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন