প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাকে পুঁজি করে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্নে দেশ গড়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন উপকারভোগীদের ভাতা মোবাইল ফোনে পৌঁছে দেয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা যখন সমগ্র বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যখন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বাবার মতো দুস্থ মানুষের কষ্ট দেখতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছি। মাইলের পর মাইল হেঁটে তাদের কষ্ট দেখেছি। তখন আমরা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থেকেছি। ৯৬ সালে সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ ও স্বামী পরিত্যক্তা মানুষদের সহায়তায় কাজ শুরু করি। পরবর্তী সময়ে প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তী সময়ে গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেয়ার কাজ করি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। বস্তিবাসীদের উন্নয়নেও আমরা কাজ করেছি।’
তার দল ও তিনি মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে যেতে চান জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কেউ ঘরছাড়া থাকবে না এবং কারো ঘর অন্ধকার থাকবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, মুজিব বর্ষে দেশে এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। তবে এক কোটির বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, অসহায় ও গৃহহীনদের সহায়তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন জেলার ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।