দিন দিন রাজনীতির উপর থেকে আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যাচার, দ্বি-চারিতা, হঠকারিতা এবং ক্ষমতার দর্প এখন প্রাত্যহিক বিষয়। তৃণমূল নয়, বরং উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই রাজনীতির কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। মুখে বলা হচ্ছে তৃণমূলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা। পুরোটাই এখন প্রহসন। এই প্রহসনের রাজনীতি কবে শেষ হবে তা ভবিতব্যই জানে।
আরও একটা কথা না বললেই নয়। রাজনীতির নিয়ন্ত্রনে গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবহার এবং প্রশাসনের ব্যবহারও এখন হরহামেশাই ঘটছে। এই কারনে রাজনীতি বহুলাংশেই গোয়েন্দা তথ্য নির্ভর এবং প্রশাসন কেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। রাজনীতির মাঠে যাঁরা আছেন তাঁরা এ অবস্থার অবসান চান। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না। ঠুঁটো জগন্নাথ বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা পরিচালিত নির্বাচন ব্যবস্থা সমগ্র বিষয়টাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।
আমরা তাহলে কোথায় চলেছি ?
গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা কি বাংলাদেশে সোনার হরিণ হয়েই থাকবে ?