ইরান সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার সময় নিজেদের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজ উন্মোচন করেছে। এমন একসময় এই মহড়া চালাল তেহরান, যখন পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা চলছে।
দোহাভিত্তিক আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সাগরে মোতায়েন করা জাহাজটির নাম আইআরআইএস মাকরান।
এটি অন্তত পাঁচটি হেলিকপ্টার বহন করতে পারবে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম জাহাজটি অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে বহরে যুক্ত হয়েছে।
২২৮ মিটার দীর্ঘ যুদ্ধজাহাজটি আগে ছিল একটি তেলট্যাংকার। সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা ছাড়াও মূলত রসদ সহায়তা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের রাখা, পরিবহন সরবরাহ করা এবং সেই জায়গায় নতুন নিয়ে আসা, চিকিৎসা সহায়তা ও ছোট ছোট দ্রুতগামী নৌকার ঘাঁটি হিসেবে কাজ করবে মাকরান।
এ ছাড়া ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, বিশেষ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা, মানববিহীন আকাশযান মোতায়েন করা যাবে জাহাজটিতে। অভিষেকে ওমান সাগরে দুদিনের মহড়ায় অংশ নিয়েছে জাহাজটি।
মহড়ার মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী অ্যাডমিরাল হামজেহ আলী খাবিয়ানি বলেন, এই মহড়ার আয়োজনের মাধ্যমে সম্ভাব্য হুমকির জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার মূল্যায়ন করতে পারব। এ ছাড়া নিজেদের দুর্বলতাগুলো শনাক্ত করে সেই অনুসারে সামর্থ্য বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে এটি।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সবসময়ই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে আসছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব ও দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল।
এরা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে নিরাপত্তা হুমকি বলে বিবেচনা করে থাকে।
বর্তমানে ২০১৫ সালের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণ চুক্তি নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এরই মধ্যে নতুন সামরিক নৌযানের খবর জানাল ইরান।