যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে ৫০টি রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনী ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করা হচ্ছে।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে তার পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশটির ৫০টি রাজ্যের প্রতিটি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা সশস্ত্র মিছিল বের করতে পারে। এ কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ন্যাশনাল মল বন্ধ করা হয়েছে। ক্যাপিটলের রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভার্জিনিয়ার এক ব্যক্তিকে দুটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৫০৯টি অনিবন্ধিত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাপিটল সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রমকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আগামী বুধবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তবে বাইডেনের টিম করোনার কারণে দেশবাসীকে রাজধানীতে না আসার আহ্বান জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির মেয়রসহ স্থানীয় কর্মকর্তারা জনগণকে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান দূর থেকে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে বাইডেনের শপথের দিন সকালেই হোয়াইট হাউস ছাড়বেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফলে বাইডনের মফথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের না থাকার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত।
২০ তারিখ সকালে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে ফ্লোরিডা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। এর আগে অভিষেকের একদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবারই ওয়াশিংটন ছাড়ার চিন্তা করেছিলেন। পরে মত পাল্টে বুধবার সকালে ফ্লোরিডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময়ও সমর্থকরা সহিংসতা ঘটাতে পারেন বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে না যাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প যে ঘোষণা তা দেশটির ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তবে এতে বেশ খুশি হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প অনুষ্ঠানে আসবে না, সেটাই বরং ভালো!
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা। ওই ঘটনায় শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই নয় বরং বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার কারণে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পকে অভিশংসিত করেছে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ।