ঝালকাঠিতে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।
রোববার জামিন শুনানির নির্ধারিত দিনে আদালতে বাদী এবং আসামি উপস্থিত হলে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ বরপক্ষের অনুরোধে উভয় পক্ষকে বিয়ের শর্তে স্থায়ী জামিনের প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবে উভয় পক্ষ রাজি হলে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে রোববার দুপুরে দুইপক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা সৈয়দ বশির।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই বিয়ের বর হলেন সদর উপজেলার বৈদারাপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম। আর কনে চরভাটারাকান্দা গ্রামের আয়শা আক্তার। বিয়ের পর আসামি বর মহিদুলের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।
পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল জানান, তিন বছর আগে আয়শা আক্তারকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা লাকি বেগম বাদী হয়ে একটি নালিশী মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন।
রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামি পক্ষ ভিকটিমকে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের মধ্যেই পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নির্দেশ দেন।
আদালত চত্বরে আসামি, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।