করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেয়ার পর নরওয়েতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের প্রত্যেকেরই বয়স ৭৫ বছরের বেশি। ঘটনার পর ফাইজার/বায়ো এনটেক করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ সংবাদমাধ্যমে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েই ২৩জন মারা যান বলে খবর প্রকাশ করা হয়। মৃতদের সবার বয়স ছিল আশির উপরে। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, ৮০ এর বেশি বয়সে টিকা নেয়ার ঝুঁকি বেশি এবং কার্যকারিতা কম। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাও সরকারিভাবে মেনে নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বয়স ৭৫-এর ঊর্ধ্বে। অর্থাৎ এই বয়সও যে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত নয়, তা অনেকটাই স্পষ্ট। নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে শুধুমাত্র ফাইজার/বায়ো এনটেকের টিকাই দেয়া হচ্ছে, তাই মৃত্যুর জন্য এই ভ্যাকসিনই কাঠগড়ায় উঠবে।
তবে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখেছে। বাকি ১৬জন কেন মারা গেল, তারও কারণ খুঁজে বের করতে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে নরওয়েতে ফাইজারের টিকা নেয়ার পর যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে সেগুলো হলো বমি হওয়া, জ্বর আসা, আবার অনেকের ইঞ্জেকশন নেয়ার জায়গাটির আশপাশ দিয়ে ব়্যাশ বেরোনো, চুলকানো। সেই কারণেই বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ে প্রশাসন। একইসঙ্গে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে ফাইজার কর্তৃপক্ষও। নরওয়ে সরকারকে একটি বিজ্ঞপ্তিও ই-মেল করেছে তারা। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এখনও সংখ্যাটা বিরাট উদ্বেগজনক নয়। তাই দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে।
গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে নরওয়েতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। কিন্তু বয়স্কদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই টিকার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।