বিশ্বের সর্ববৃহৎ করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ভারতে। শনিবার শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে বেশিরভাগ মানুষ আশার আলো দেখলেও অনেকেরই মনে জমেছে আশঙ্কার মেঘ।
কারণ ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হলেও সেটির চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি। খবর আনন্দবাজারের।
এ কারণে টিকাদানের আগে গ্রহীতার অনুমতি নিতে হচ্ছে প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেককে। আর সেই অনুমতিপত্রে প্রতিষেধকটি নেওয়ার পরে শরীরে কোনো রকমের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভারত বায়োটেক।
ভারত বায়োটেকের পক্ষে জারি করা ওই অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকা এই প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা ক্লিনিক্যালি প্রতিষ্ঠা হওয়া এখনও বাকি।
তবে ভ্যাকসিনটি প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষেধকটি নিলেও আগের মতোই কোভিড ১৯-এর অন্য বিধিনিষেধ মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে অনুমতিপত্রে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষেধক নেওয়ার পর কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে সরকারি বা সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সমস্যা যদি গুরুতর হয় এবং প্রতিষেধকটির কারণেই যে তা হয়েছে সেটি প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেবে ভারত বায়োটেক।