দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত দেশের আরও ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনে গড়ে ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এসব পৌরসভায় মোট ভোটার ছিল ২০ লাখ ৯১ হাজার ৬৮১ জন। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৯৫ হাজার ২৩৬ জন ভোট দিয়েছেন।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান আরজু এসব তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আসাদুজ্জামান আরজু জানান, দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় পড়েছে সর্বনিম্ন ৩৯ শতাংশ ভোট।
ইসি সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন) ২৯টি এবং ব্যালটের মাধ্যমে ৩১টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির দুই জন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।
দ্বিতীয় ধাপে ইভিএমে অনুষ্ঠিত ২৯ পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রাজশাহী জেলার গোদাবাড়িতে। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৩.৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ইভিএমে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ফেনীর দাগনভূঁইয়ায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৩৮.৬৩ শতাংশ।
৬০টি পৌরসভার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় ফলাফল নির্ধারিত হয়নি। তবে সেখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এগিয়ে আছেন।
বাকি পৌরসভাগুলোর মধ্যে ৪১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আরও চার পৌরসভায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। এছাড়া বিএনপির ৪ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, জাসদের ১ জন ও ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (ব্যালট), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), বেলকুচি (ব্যালট), উল্লাপাড়া (ব্যালট), সদর (ব্যালট) ও রায়গঞ্জ (ব্যালট), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ (ব্যালট), কুষ্টিয়া সদর (ব্যালট), কুমারখালী (ইভিএম), ভেড়ামারা (ব্যালট) ও মিরপুর (ব্যালট), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া (ব্যালট) ও কমলগঞ্জ (ব্যালট), নারায়ণগঞ্জের তারাবো (ইভিএম), শরীয়তপুর সদর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী (ব্যালট), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ (ব্যালট) ও সদর (ব্যালট), দিনাজপুর সদর (ব্যালট), বিরামপুর (ব্যালট) ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর (ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া (ব্যালট), ফরিদপুর (ইভিএম), সাথিয়া (ব্যালট), ঈশ্বরদী (ব্যালট) ও সুজানগর (ব্যালট), রাজশাহীর আড়ানী (ইভিএম), ভবানীগঞ্জ (ব্যালট) ও কাকনহাট (ইভিএম), সুনামগঞ্জ সদর (ব্যালট), ছাতক (ব্যালট) ও জগন্নাথপুর (ইভিএম), হবিগঞ্জের মাধবপুর (ব্যালট) ও নবীগঞ্জ (ব্যালট), ফরিদপুরের বোয়ালমারী (ব্যালট), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম) ও মুক্তাগাছা (ব্যালট), মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর (ব্যালট) ও গোপালপুর (ব্যালট), বগুড়ার শেরপুর (ব্যালট), সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও সান্তাহার (ইভিএম), পিরোজপুর সদর (ইভিএম), নেত্রকোনার কেন্দুয়া (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকুপা (ইভিএম), পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর (ইভিএম), বান্দরবান জেলার লামা (ব্যালট), টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী (ইভিএম), কুমিল্লার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঁইয়া (ইভিএম), কিশোরগঞ্জ সদর (ব্যালট) ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) এবং বাগেরহাটের মোংলা (ইভিএম) পৌরসভায় ভোট হয়।
দেশে মোট পৌরসভা রয়েছে ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় গত ২৮ ডিসেম্বর। এছাড়া তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে।