গত বছরের জানুয়ারিতে প্রথম মৃত্যুর পর দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির প্রকোপ গত গ্রীষ্মে কিছুটা কমলেও শীত আসতেই তা আবার হুহু করে বেড়েই চলেছে। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষের।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯০২ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করছে ওয়ার্ল্ডোমিটারস নামের একটি ওয়েবসাইট। তাদের সর্বশেষ তথ্য বলছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪১৪ জন, মোট মারা গেছেন ২০ লাখ ৩০ হাজার ৯১৪ জন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ৪৩ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ২৬১ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭১০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩১১ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০৫ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৫০ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। তুরস্ক সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।
এরই মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বেশ কয়েকটি দেশ টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। বাংলাদেশেও চলতি মাসের মধ্যে টিকা আসার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।