ভারতে টিকা নেয়ার পর একজনের মৃত্যু: ৪৪৭ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনার টিকা
ফাইল ছবি

ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই প্রায় সাড়ে চারশ’ জনের মধ্যে শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আর মারা গেছেন একজন। যদিও ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার থেকে ভারতে শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি। দেশটিতে তিন হাজারের মতো কেন্দ্রে একসঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

universel cardiac hospital

প্রথম দফায় ভারতের চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্সচালক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা করোনার ভ্যাকসিন পাবেন। এরপর দেয়া হবে পুলিশ, সামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের করোনাযোদ্ধাদের। প্রাথমিকভাবে প্রায় তিন কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটি।

তবে ভ্যাকসিন প্রদান শুরুর মাত্র দু’দিনের মধ্যেই ৪৪৭ জনের শরীর নানা ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে। এসব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যাথা এবং বমিভাব।

ভ্যাকসিন নেয়া একজনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেয়ার মাত্র একদিন পরেই মারা গেছেন উত্তর প্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতালের কর্মী। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর।

তবে জেলার প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা বলেছেন, ভ্যাকসিন নেয়ার সঙ্গ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রাদেশিক সরকারের তথ্যমতে, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের অসুখে ওই হাসপাতালকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে।

এছাড়া, ভ্যাকসিন নেয়ার পর কলকাতায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন ৩৫ বছর বয়সী এক নার্স। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ওই নার্স কেন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন, সেটা খতিয়ে দেখতে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ভ্যাকসিন নেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর এক নিরাপত্তাকর্মীকে।

মাত্র ২২ বছর বয়সী ওই কর্মী প্রথম দিনেই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। এর পরপরই তার শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়।

অবশ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়া এসব ব্যক্তির মধ্যে কারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ আর কারা ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়েছিলেন, সেই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন