জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সাবেক একজন ডেপুটি স্পিকার, সাবেক একজন মন্ত্রী, সাবেক দুজন প্রতিমন্ত্রী, সাবেক নয়জন সংসদ সদস্যদের নামে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে। এছাড়া দশম অধিবেশনের পর মারা যাওয়া দেশের গণ্যমান্য বিভিন্ন ব্যক্তির নামে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
শোক প্রস্তাব আনার পর তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে স্পিকার সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন দেন। এসব সভাপতিমণ্ডলী স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
আজ সোমবার বিকেলে বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব আনেন।
এরা হলেন- দ্বিতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদের শরীয়তপুর-২ আসনের সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদের ফরিদপুর-৩ আসেনের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও দশম সংসদের পটুয়াখালী-৩ আসনের সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, তৃতীয় ও নবম সংসদের যশোর-৩ আসনের সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. খালেদুর রহমান টিটো, প্রথম সংসদের তৎকালীন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সদস্য শাহ-ই-জাহান চৌধুরী, সপ্তম সংসদের কক্সবাজার-৪ আসনের সদস্য মোহাম্মদ আলী, সপ্তম ও অষ্টম সংসদের রাজশাহী-৩ আসনের সদস্য মোহাম্মদ আবু হেনা, অষ্টম সংসদের নোয়াখালী-২ আসনের সদস্য এম এ হাসেম, তৃতীয় সংসদের পটুয়াখালী-৩ আসনের সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, চতুর্থ সংসদের নরসিংদী-২ আসনের সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, অষ্টম সংসদের মানিকগঞ্জ-২ আসনের সদস্য সামসুদ্দীন আহমেদ, পঞ্চম সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-১৬ এবং অষ্টম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-৯ এর সদস্য নুরজাহান ইয়াসমিন, অষ্টম সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪ এর সদস্য অ্যাডভোকেট খালেদা পান্না।
এছাড়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার চাচি, সংসদ-সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও সংসদ-সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মা এবং সংসদ-সদস্য শেখ তন্ময়ের দাদি শেখ রাজিয়া নাসের, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ রানী, সংসদ সচিবালয়ের কামরা পরিচালক মো. কোরবান আলী, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ-সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট নারী নেত্রী আয়শা খানম, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ভাষা সৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া, সাবেক সচিব ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি এবং গবেষক মনজুরে মওলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মুহ. আবদুল হান্নান খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান, বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম, বিশিষ্ট অভিনেতা আব্দুল কাদের, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন-পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীরা, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মৃত্যুতে এ সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এ সময় স্পিকার বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। উত্থাপিত শোকপ্রস্তাবগুলো ব্যতীত যদি কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নাম বাদ পড়ে থাকে, তবে তার বা তাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছে দিলে তা পরবর্তীতে শোকপ্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিবেচনা করা হবে।