ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে পাথরবোঝাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তিনটি গাড়িতে করে বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে ধূপগুড়ির জলঢাকা সেতুর কাছাকাছি মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজারের।
নিহতরা ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার, রানিরহাট মোড় এবং মালবাজারের ডামডিম এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সবার পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। রাস্তা ফাঁকা থাকায় উল্টো দিকের লেন ধরে গাড়িগুলো যাচ্ছিল। এ সময় ১০ চাকার একটি পাথরবোঝাই ট্রাক ময়নাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। জলঢাকা সেতুর কাছে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় সামনের গাড়িটি ডিভাইডারে উঠে কাত হয়ে যায়। সে সময় পাশ কাটিয়ে কনেযাত্রীদের বাকি দুটি গাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করতে ট্রাকটি গাড়ি দুটির ওপর উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন শিশুসহ ১২ জন নিহত হন। হাসপাতালের পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ও শিশু রয়েছে।
এর আগে সকালে গুজরাটে ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর ট্রাক উঠে গেলে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। গুজরাটের সুরাতের কাছে কোসাম্বা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবর বলছে, কিম মান্দভি সড়কে ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর আবর্জনা ফেলার ট্রাক উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই ১২ জন নিহত হন।
আরও আট আহতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।