ভারতের উপহার করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এবং বাংলাদেশের কেনা ৫০ লাখ ডোজের মধ্য থেকে ১৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ভারত ছাড়াও চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ওপরে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সব মিলিয়ে মোট ৩৫ লাখ ডোজ টিকা আসবে। ভারত উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি (বেক্সিমকো) যে চুক্তি করেছে, তার প্রথম চালান হিসেবে ১৫ লাখ ভ্যাকসিন আসবে।
মন্ত্রী বলেন, টিকা আসার পরপরই ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করে দেয়া হবে।
আরও কিছু দেশ বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে চায় বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা পাওয়ার বিষয়ে আমরা এখন যথেষ্ট নিশ্চিত। রাশিয়া আমাদের অনেক ভ্যাকসিন দিতে চায়। অন্যান্য দেশও আমাদের ভ্যাকসিন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যেমন চীন রয়েছে। চীন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ভ্যাকসিন দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এটা আমি বলতে পারব না।
বিভিন্ন দেশের কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
স্বাস্থ্যসচিব জানান, প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন তারা তৃতীয় মাসে দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। সরকারি হাসপাতালে দেয়া হবে, বাইরে কোনো কেন্দ্র থাকবে না। কোনো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। প্রতি টিমে দুই জন ভ্যাকসিনেটর ও চার জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন, যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের টেলিমেডিসিন সুবিধা দেয়া হবে এবং ফলোআপে রাখা হবে।
চলতি মাসে কতজন এবং কিভাবে ভ্যাকসিন পাবেন তা এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানান আব্দুল মান্নান।
তিনি জানান, ভারতের উপহারের ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করার পর কোল্ড স্টোরে রাখা হবে। এরপর ২৭/২৮ জানুয়ারি ২০ থেকে ২৫ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা দেয়া হতে পারে, তবে এটা চূড়ান্ত নয়।
এদিকে সিনিয়র সচিব আইসিটির এন এম জিয়াউল আলম জানান, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেতে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপস ২৫ জানুয়ারি হস্তান্তর করা হবে।