‘দেশের প্রতিটি সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘দেশের প্রতিটি সংগ্রামের সূতিকাগার’ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের অর্জনের ও গৌরবের। আমাদের রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটি সংগ্রামের সূতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী হতে পেরে আমি সত্যিই খুব গর্বিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ‘সেলেব্রেটিং হানড্রেড ইয়ার্স অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা : রিফ্লেকশনস ফ্রম দ্য অ্যালামনাই-ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ন্যাশনাল’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালায় তখন তারা রাজারবাগ পুলিশ ফাঁড়ি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং ৩২ নম্বরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বেছে নিয়েছিল। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষককে হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে যখন আমাদের বিজয় সন্নিকটে সে সময় আমাদের শিক্ষকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বিশেষ করে আমার বিভাগের তো অনেককেই আর আমি সারাজীবনেও দেখতে পারিনি। আমি আজ সবাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ২০২১ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। বাংলাদেশ এই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এই স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

সম্মেলনের শুরুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট ও বিভাগের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন