আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে বিভিন্ন সময়ে লোন নেওয়া ২৮০ জন ঋণখেলাপিকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।
মেজবাহুর রহমান বলেন, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানি অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আদালত এ কোম্পানি থেকে ঋণগ্রহীতাদের তালিকা চেয়েছিলেন। আমরা সে তালিকা দিয়েছিলাম। সেই তালিকা থেকে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ঋণখেলাপি এমন ২৮০ জনকে শোকজ করেছেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলেছেন। ঋণ গ্রহণ ও খেলাপের বিষয়ে এই ২৮০ জনকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, পিপলস লিজিংয়ের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আটকা পড়েছে প্রায় হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে। এর একটি বড় অংশ নামে বেনামে ঋণ হিসেবে নিয়েছেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার)।
দুর্র্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আর এসবের কলকাটি নেড়েছেন পিকে হালদার।
প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কানাডায় পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আর তার ২৫ সহযোগীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে তার সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ৬২ জনের বিষয়ে তদন্ত করছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন।