বাইডেন-কমলাকে অভিনন্দন বিশ্বনেতাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাইডেন-কমলা
বাইডেন-কমলা। ছবি : ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন জো বাইডেন। তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সঙ্গী হয়েছেন কমলা হ্যারিস। যিনি দেশটির প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট; দেশটির প্রথম কালো এবং প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্টও তিনি।

বুধবার বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের অভিষেক দিবসে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন একাধিক বিশ্বনেতা।

universel cardiac hospital

যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো। এক টুইটবার্তায় প্যারিস চুক্তি হিসেবে পরিচিত বিশ্ব জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসাকে স্বাগত জানিছেন তিনি।

ম্যাক্রো বলেন, আমরা এক সঙ্গে আছি। আমাদের সময়ে আসা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা আরও শক্তিশালী হব। নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে আরও শক্তিশালী হব। বিশ্বকে রক্ষায় আমরা আরও শক্তিশালী হব। প্যারিস চুক্তিতে আবারও স্বাগত। এমন বিশেষ দিনে আমেরিকার মানুষের জন্য শুভ কামনা রইল।

কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটবার্তায় বলেন, আমরা দুই দেশ মিলে ইতিহাসের বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। কমলা হ্যারিস ও আপনার প্রশাসনের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছি।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস-ঐতিহাসিক এই অভিষেক দিবসে আপনাদের অভিনন্দন।

বাইডেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আপনার সঙ্গে আমার কয়েক দশকের ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব রয়েছে।

তবে বাইডেনের শপথ নেওয়ার আগে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও স্মরণ করেও টুইট করেছেন নেতানিয়াহু।

সেই টুইটবার্তা তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইসরাইলের জন্য আপনি যা করেছেন সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক ঘোষণা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের শান্তি চুক্তির ব্যাপারে আপনার নেওয়া পদক্ষেপ।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্বাস বাইডেনের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে বলেন, ‘এই অঞ্চল ও সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব বলে প্রত্যাশা করছি।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেওরের কাছে।

নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। প্রথা ভেঙে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বিদায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথের আগেই হোয়াইট হাউজ ছেড়ে ফ্লোরিডায় পাড়ি জমান তিনি।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন ও জর্জ ডব্লিউ বুশ। তাদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্প না থাকলেও বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

শপথ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন