রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ভারত থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১ হাজার ২৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কেনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজহ বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সার্স-কোভ-২ এজেডডি ১২২২) সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে তিন কোটি ডোজ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
ভ্যাকসিনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন এসেছে অলরেডি, ভ্যাকসিন আসাটা ভালো। আমাদের অনেকের বয়স বেশি, ভ্যাকসিন প্রয়োজন। ভ্যাকসিনটা যদি আমরা সবাই পেয়ে যাই তাহলে আরো ভালো ফিল করবো, কাজকর্মে মনোযোগী হতে পারব। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে পারব এবং সফলতার সাক্ষর রাখতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এটার ক্রয়মূল্য ১ হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর সুপারিশকৃত দরদাতা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনতে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬ (২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশ করেছে। টাকা-পয়সার বিষয়ে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে যখন আসবে তখন আলোচনা হবে। অ্যাটে টাইমে কিনতে ৫ কোটি টাকার বেশি হলে ক্রয় কমিটিতে আসে। এককালীন কিনতে গেলে এর দাম ৫ কোটি টাকার বেশি হবে। এজন্য ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাব আনতে হবে।