গত ১ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। চিঠির জবাবে মিয়ানমার জানিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়া বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিন এসব কথা উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মিয়ানমার মন্ত্রীর বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যে কোনো দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের সমাধান করতে চায়। গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন কাইয়া টিন।
কাইয়া টিন বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো তিনিও মনে করেন করোনা মহামারির কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক সংহতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন মিয়ানমারের মন্ত্রী। চিঠিতে ড. মোমেনের সুস্বাস্থ এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন কাইয়া টিন।
গত ১ জানুয়ারি মিয়ানমারের মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার জন্য তিনি ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান। কাইয়া টিন ও ড. মোমেন একই সময়ে জাতিসংঘে নিজ নিজ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং সেসময় থেকে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।