বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানি ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে মহামারি করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ লাখ।
এর আগে ২১ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ১৭ হাজার প্রাণহানি দেখেছে বিশ্ব। এছাড়া ১৩ ও ১৪ জানুয়ারিও করোনার তাণ্ডব দেখেছিল বিশ্ব। ১৩ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৭১১ জন এবং ১৪ জানুয়রি ১৬ হাজারের বেশি প্রাণ কেড়ে নেয় করোনা।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭৮। এর মধ্যে ২১ লাখ ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাত কোটি চার লাখ ৬৪ হাজার ৮৫২ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ২৮৫ জনের।
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছয় লাখ ২৬ হাজার ২০০। এর মধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৪। এর মধ্যে দুই লাখ ১৪ হাজার ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮০৪। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’
মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য।
লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনা ভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে।
হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে চীন তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান তিনি।
তিনি জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ নিয়ে প্রথম দিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়বো এবং গুম হয়ে যাবো।