চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-খাল-নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। ইশতেহারে ৩৭ দফা কর্মপরিকল্পনা দেন নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী।
ইশতেহারে সকল সেবা সংস্থার সমন্বয়ে নগরের সমস্যা চিহ্নিত করতে ১০০ দিনের অগ্রাধিকার পরিকল্পনা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এর বাইরে গৃহকর না বাড়িয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদায়ের উপর গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের সেবা কার্যক্রম নাগরিকদের কাছে আরও সুন্দরভাবে পৌঁছানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী সিরাজুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ।
আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। ২৫ জানুয়ারি রাত ১২টায় শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিল এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২২৬ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ জন, কাউন্সিলর (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী সংখ্যা ৫৩ জন। মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ প্রতীক)। এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যেই নগরবাসী আগামী পাঁচ বছরের জন্য নগর পিতা নির্বাচন করবেন।