পরামর্শক কমিটির মতামতে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে খুলে দেয়া যায় তার জন্য একটি গাইডলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরু করার উপযোগী করে তুলতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে- তা করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, করোনা পরিবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নেয়া যায় তার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে কীভাবে আরও ভালো করতে পারি সেটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে নিতে বলা হয়েছে।

ক্লাস রুমের সঙ্গে অনলাইনে ক্লাস চলবে বলেও মন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, এর মধ্যে করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নেয়া হবে। ৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়া যাবে নাকি আরও পরে নেয়া হবে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া হবে। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তিন বা চার মাসের মধ্যে সরাসরি ক্লাসে এসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে হবে। সে জন্য তাদের সপ্তাহে পাঁচ বা ছয়দিন ক্লাসে আসতে হতে পারে। অন্যান্য ক্লাসে সপ্তাহে একদিন আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে সবাইকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে ক্লাস করতে হবে।

একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্লাস রুমে এত শিক্ষার্থী থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে ক্লাসের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মানা খুব কঠিন। ক্লাস রুমে যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি মানা হয় সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার পর একজন শিক্ষার্থী যেন বেকার না থাকে সেজন্য কারিকুলাম পরিবর্তনের কাজ করছি। ইতোমধ্যে মাধ্যমিকে কোনো বিভাগ থাকবে না এটার কাজ শুরু হয়েছে। সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের যেন বাধ্যতামূলকভাবে একটি কারিগরি ট্রেডে পড়ানো হয় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা বা সনদনির্ভয় ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। নতুন করে কারিকুলাম সাজাচ্ছি, সেজন্য নতুন প্রকল্প চলছে আরও প্রকল্প নেয়া হবে।

বাংলাদেশ-ইউনেস্কো কমিশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো. ফরাসউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন