‘রাজধানীতে মশা অসহ্য ও যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

‘রাজধানীতে মশা অসহ্য ও যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কিউলেক্স মশার উপদ্রব অতীতের তুলনায় কমেছে।’-বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ঢাকা উত্তর সিটি ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

তাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা মশা নিয়ে কিছু কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি যদিও এটা মনে করি অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় এখন কিউলেক্স মশার পরিমাণ কম। তাও (মশা) মানুষের কাছে অসহ্য ও যন্ত্রণার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে-এই কথাটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এডিস মশা বাসা-বাড়িতে থাকে। বাড়ির মালিকরাসহ সবাই একত্রে এই মশা মারতে যোগ দিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলাম বলে আমরা সেখানে একটা সন্তোষজনক একটা জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। কিউলেক্স মশা হয় ঝোপ-জঙ্গল, আর্বজনা এবং ময়লা পানিতে। এজন্য কচুরিপানাসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেশিন কেনা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটিকে শুধু বসবাসের জন্য নয়, এনজয়েবল ঢাকা সিটি করতে চাই। সেজন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে জলাশয়গুলো পরিষ্কার করতে হবে। অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। সেজন্য আমরা বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

ঢাকার খালগুলো দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্টর্ম ওয়াটার ও খালগুলো নিয়ে আজকে বসেছি। শুধুমাত্র বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য, খালগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাছে এটা হস্তান্তর করা হয়নি। তারাও এজন্য এটা নেয়নি। উদ্দেশ্যটা হলো, যেসব খালের জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে তা দখলমুক্ত করা। দখলমুক্ত করে খালগুলোকে সংস্কার করা।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন