চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন আজ। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো প্রচার চালানো যাবে না। আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, শেষদিনে জমজমাট প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা রেখেছে সিটি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এদিন সবগুলো ভোটকেন্দ্রে অনুশীলন বা মক ভোটের আয়োজন করেছে।
এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন চসিকের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গত ১৮ দিনে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। চায়ের দোকান, উঠান বৈঠক, মিছিলে স্ব স্ব দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় চলছে রসে ভরা নানা শ্লোগান। সাধারণ ভোটাররা এসব শ্লোগানে মুগ্ধও হচ্ছেন, পাচ্ছেন নির্বাচনী আনন্দও। এই সব আনন্দের শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে।
বিধি অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ সমন্বিতভাবে ৩০ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না।
ওই সময় কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্বরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তি প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবেন না। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
তবে নির্বাচনকে ঘিরে সংঘটিত তিন হত্যাকাণ্ড ও কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নগরবাসীর মনে।
এদিকে, শহরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নগর পুলিশের ৬ হাজার ৭৭৩ সদস্যসহ মোতায়েন হচ্ছে আট হাজার পুলিশ। প্রতি কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ ছয়জন করে পুলিশ সদস্য ও ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।
এর বাইরে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ চার জন পুলিশ ও ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরে টহল পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তৎপর থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকবে নগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, কাউন্টার টেররিজম ও সোয়াট সদস্যরা।