ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ করোনার টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। সোমবার বেলা ১১টার কিছু সময় পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে পৌঁছায় টিকার চালানটি।
সেখান থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরী করা ফ্রিজার কাভার্ডভ্যানে করে এগুলো নেয়া হবে টঙ্গিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়ার হাউজে।
এর আগে সকালে ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৮টা ২৮ মিনিটে টিকা নিয়ে রওনা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই-১২৫৪) বিশেষ ফ্লাইটটি।
এদিকে আগে থেকেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে রাখা ছিল বেক্সিমকোর নয়টি ফ্রিজার গাড়ি। ৫০ লাখ টিকা আসার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা টঙ্গীতে বেক্সিমকোর গুদামে নেয়া হবে। পরে সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেয়া হবে এসব টিকার।
এরপর সারা দেশে পাঠানোর আগে এই টিকা সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা দেয়ার কথা। তবে সেই টিকা কবে আসবে, তা নিশ্চিত কেউ বলতে পারছে না। কোভ্যাক্স বলেছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে তারা কিছু টিকা পাঠাবে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা এলে তা সংরক্ষণের জন্য ৬৭ দশমিক ১৪ ঘনমিটার কোল্ড স্পেস বা সমপরিমাণ ফ্রিজার স্পেসের প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে জেলার জন্য অতিরিক্ত ১৭৯টি আইএলআর (আইস লাইনার রেফ্রিজারেটর) এবং ৩১২টি ডিপ ফ্রিজ কিনতে হবে। আর উপজেলার জন্য ২৯৪টি আইএলআর ও ২৯৪টি ডিপ ফ্রিজ কিনতে হবে।