ব্রিটেনের যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, রাজনীতি যখন খুবই দূষিত হয়ে পড়ে, তখন দুটি ব্যাপার সেই রাজনীতিতে দেখা দেয়—একটি কালেকটিভ ম্যাডনেস (দলবদ্ধ পাগলামি), অন্যটি কালেকটিভ লাই (দলবদ্ধ মিথ্যাচার)। সম্প্রতি আমেরিকায় ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তাঁর মধ্যে এবং তাঁর সমর্থকদের মধ্যে পাগলামি ও মিথ্যাচার দুটিই দেখা দিয়েছিল। ট্রাম্প ভেবেছিলেন, এই পাগলামি ও মিথ্যাচার দ্বারা তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। এই আশায় গত ৬ জানুয়ারি তিনি এর সঙ্গে সহিংসতারও যোগ ঘটিয়েছিলেন; কিন্তু তাঁর আশা পূর্ণ হয়নি।
বাংলাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির ভিত্তি এই পাগলামি ও মিথ্যাচার। সেই সঙ্গে তারা হিংসা ও সন্ত্রাসকেও যুক্ত করেছিল। ফলে দেশের মানুষ তাদের হিংসার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করায় এখন তারা আপাতত বকধার্মিক সেজেছে। কিন্তু দলটিতে (এবং তাদের সহযোগী দলগুলোতে) দলবদ্ধ পাগলামি এবং দলবদ্ধ মিথ্যাচার দুই-ই বেড়েছে। আমেরিকায় ট্রাম্পের রাজনীতি ব্যর্থ হওয়ার মতো বাংলাদেশে বিএনপির এই রাজনীতিও নিঃসন্দেহে ব্যর্থ হবে।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা মহামারিতে মানুষ মরছে। ব্রিটেনসহ ইউরোপের উন্নত দেশগুলো এই ভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেশে তা ব্যবহার শুরু করেছে। একটি দেশে ফাইজার কম্পানির টিকা গ্রহণ করে ২৫ ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরও এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। কোনো দেশেই এই টিকা ব্যবহারের জন্য সন্দেহ সৃষ্টি হয়নি। এবং এই টিকা ভালো কী মন্দ তা পরীক্ষার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রীকে এই টিকা প্রথম গ্রহণের দাবি কেউ জানাননি। এই দাবি বদ্ধ পাগলামির পরিচয়। এই পাগলামি দেখা দেয় অত্যন্ত নিচু মানসিকতার রাজনীতিকদের মধ্যে। বাংলাদেশে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলোতে এই দলবদ্ধ পাগলামি দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দলবদ্ধ মিথ্যাচারও। গত রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই দলবদ্ধ পাগলামি ও মিথ্যাচারিতার দলগুলো সমবেত হয়ে দাবি তুলেছে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রথম এই করোনার টিকা গ্রহণ করতে হবে। নিচু স্তরের মানসিকতার এর চেয়ে বড় পরিচয় আর কিছু নেই। এই পাগলামি ও মিথ্যাচারের প্রথম প্রকাশ ঘটেছিল বিএনপি নেতা রিজভীর মধ্যে। তিনি গোয়েবলসের প্রভাবে পড়ে আবিষ্কার করলেন, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনে প্রথম এই টিকা গ্রহণ করেছেন। এই তথ্য-প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ব্রিটেনে কাকে সাড়ম্বরে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে তা আফ্রিকার একটি বালকও জানে। আর বিএনপি নেতারা তা জানেন না, বরং জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢুকে কোরাসে মিথ্যাচার করতে পারেন এটা একটা বিস্ময়ের ব্যাপার। তবে যাঁরা বিএনপি রাজনীতির মিথ্যা বলার অভ্যাসের কথা জানেন, তাঁরা এই মিথ্যাচারে বিস্মিত হবেন না।
আমি ২৪ জানুয়ারির একটি বাংলা দৈনিকে (কালের কণ্ঠে নয়) রিজভীর মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে জানিয়েছি, ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধকে, বৃদ্ধের ছবিসহ সেই খবর ফলাও করে মিডিয়া প্রকাশ করেছে। ব্রিটেনের রানি প্রথম এই টিকা নেননি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও প্রথম এই টিকা নেননি। এই খবরটা বাংলাদেশে বিএনপি নেতারা জানেন না এবং দল বেঁধে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে ব্রিটেনের রানিকে তাঁদের মিথ্যাচারে দলবদ্ধ হয়ে ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। এটা ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের কানে গেলে, কিংবা ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন জানতে পারলে তাদের কী প্রতিক্রিয়া হবে আমি জানি না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তাঁর পাগলামি সব সীমা ছাড়িয়েছে। তিনি একবার ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার কার্যকারিতায় সন্দেহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম টিকা নেওয়ার দাবি জানালেন। তার পরদিনই তাঁর এই দাবি পাল্টে বললেন, ‘করোনাভাইরাসের যে টিকা বাংলাদেশে এসেছে, তা নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। প্রথম দিকে তাঁর নাম এলে তিনি নিজে টিকা নিতে রাজি।’ এরপর গত রবিবার প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্যের সভায় বলেছেন, ‘এই টিকা করোনার, না মুরগির টিকা তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই টিকা প্রথম নিয়ে মানুষের মনের সংশয় দূর করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।’
আমার সহৃদয় পাঠকরাই বলুন, ওপরের পরস্পরবিরোধী কথাগুলো যিনি বলেছেন, তাঁকে সুস্থ মাথার লোক ভাবা যায় কি না! চার্চিল বৃদ্ধ বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যখন পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা বলতে শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর দলের চাপেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বর্তমানে ডা. জাফরুল্লাহ যেসব দলের রাজনৈতিক অভিভাবক হয়ে আছেন, তাদের কি তাঁর সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আসেনি?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী না হয় বৃদ্ধ মানুষ; কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল তো বৃদ্ধ নন। তিনি রীতিমতো একজন সাবেক অধ্যাপক। শুনেছি, ভালোই অধ্যাপনা করতেন। রাজনীতিতে এসে তাঁর এই বয়সেই ভীমরতি হলো কেন বোঝা ভার। রিজভীকে টেক্কা দেওয়ার জন্য কি তিনিও উচ্চকণ্ঠে বলেছেন, ‘টিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে ইংল্যান্ডের রানি আগে টিকা নিয়েছেন।’ এটা কী মহাসচিবের অজ্ঞতা, না মিথ্যাচার? জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনাসভায় এ কথা তাঁরা বলেছেন। ব্রিটেনের রানির প্রথম টিকা নেওয়া সম্পর্কে রিজভী ও ফখরুল দুজনের বক্তব্যই মিডিয়া ফলাও করে ছেপেছে। তা তারা ছাপুক আপত্তি নেই। কিন্তু যেসব অভিজ্ঞ মিডিয়া পারসন, যাঁরা এই সব আলোচনাসভায় আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হন, তাঁরা কি এসব নেতাকে কখনো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য সত্য নয়। এটা তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া কি আমাদের মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?
শেখ হাসিনাকে প্রথম টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্যে দুটি অসৎ ও অত্যন্ত নিম্ন মানসিকতার উদ্দেশ্য আছে। প্রথম উদ্দেশ্য, এই টিকায় যদি কোনো দূষিত উপকরণ থাকে, তাহলে শেখ হাসিনা গুরুতর রোগাক্রান্ত হবেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে না থাকলে বিএনপি-জামায়াতের পোয়াবারো। তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা বাধামুক্ত হবে। দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটি দেশদ্রোহমূলক অপরাধ। এই অপরাধটি হলো, করোনা মহামারিতে যখন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তখন এই মহামারির প্রতিষেধক সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করে টিকা গ্রহণে তাদের নিবৃত্ত রাখার চেষ্টা। এটা দেশদ্রোহিতার মতোই জঘন্য অপরাধ। করোনার মতো মহামারি নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। ভারত যেখানে নিজ থেকে এগিয়ে এসে ২০ লাখ ডোজ টিকা বিনা মূল্যে উপহার দিয়েছে, সেখানে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষকে গিনিপিগের মতো ব্যবহারের জন্য এই টিকা ভারত সরবরাহ করেছে। অথচ এই টিকা ভারত শুধু উৎপাদন করেছে। আবিষ্কার, তৈরি, টেস্ট করেছে বিদেশি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কম্পানি। নিজের দেশের মানুষের জীবন বাজি রেখে আর কত ভারতবিদ্বেষ প্রচারের রাজনীতি করবে বিএনপি?
করোনা মহামারি আজ বিশ্বে ছড়াচ্ছে এক বছরের বেশি সময়। বহু কষ্টের পর তার প্রতিষেধক বেরিয়েছে। তার পর্যাপ্ত ডোজ এখনো ব্রিটেন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেনি। বাংলাদেশ যে এত দ্রুত ভারত সরকারের সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক সংগ্রহ করতে পেরেছে, এটা হাসিনা সরকারের বিরাট কৃতিত্ব। দারুণ প্রতিযোগিতার বাজারে এই প্রতিষেধক কেনায় দু-চার ডলার দাম বেশি পড়তে পারে। সরকার কি আগে দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করবে, না ওষুধের দাম নিয়ে দরদস্তুর করবে? উপহারের টিকার চালান মাত্র দেশে এসে পৌঁছেছে। ক্রয়ের অর্ডার দেওয়া টিকা দেশে পৌঁছানোর আগেই বিরাট দুর্নীতি হচ্ছে বলে মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের মতো দুর্নীতি দুর্নীতি বলে চিৎকার শুরু হয়েছে। ভাবখানা এই, বিএনপি দুর্নীতিমুক্ত ধোয়া তুলসী পাতা। যাদের আমলে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মহাদুর্গ হাওয়া ভবন গড়ে উঠেছিল, কৃষকের সার ও বীজ চুরি করে বঞ্চিত কৃষকদের ১৮ জনকে গুলি মেরে হত্যা করা হয়েছে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রথমবারের মতো পুলিশ ঢুকিয়ে সাংবাদিকদের মারধর করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল শামসুন্নাহার হলে মাঝরাতে পুলিশ ঢুকিয়ে ছাত্রী নির্যাতন করা হয়েছে, বুয়েটের এক ছাত্রী বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন, তাঁকে ছাত্রদলের গুণ্ডারা গুলি করে হত্যা করেছে, শেখ হাসিনাকে মারার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, তাদের মুখে আজ দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা ভূতের মুখে রাম নামের মতো।
- আরও পড়ুন >> শুভ জন্মদিন রবিউল ভাই
বিএনপি নেতা রিজভী মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি আরব দেশের শাসকের সম্পর্কে বলেছেন, তাঁরা প্রথমে টিকা নিয়েছেন। আরেকটি মিথ্যা, তাঁরা সবাই প্রথম দফায় টিকা নিয়েছেন। তবে সর্বপ্রথম নয়। রিজভী সাহেব ‘সৌদি গেজেট’ পত্রিকার পাতা উল্টে দেখুন। সত্য কথা বলা আর নিজের অজ্ঞতা ও মূর্খতা প্রকাশ করা এক কথা নয়। মিথ্যাচার করা হলে যে নিজেদের কথার মধ্যেও সামঞ্জস্য ও সংগতি থাকে না রিজভী ও জাফরুল্লাহর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য তার প্রমাণ। রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যে টিকা ভারত পাঠিয়েছে, তা তারা নিজ দেশে দেওয়া শুরু করেনি। ভারত নিজেরা এই টিকার পরীক্ষা শুরু করবে আগামী মার্চ মাস থেকে।’ অন্যদিকে জাফরুল্লাহ বলেছেন, ‘ভারতে বহু মানুষ টিকা নিতে অস্বীকার করছে।’ অর্থাৎ ভারতেও টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। কিছু মানুষ তা নিতে চাচ্ছে না। টিকা নিতে চাচ্ছে না এমন বহু মানুষ ব্রিটেনেও আছে। তাদের কেউ কেউ নিজেদের শারীরিক অবস্থা অথবা টিকার ওপর আস্থার অভাবে টিকা নিতে চাচ্ছে না। তাতে টিকাদান অভিযান বন্ধ থাকেনি।
সরকার কেন একটি বেসরকারি কম্পানিকেও এই টিকা আমদানির ভার দিয়েছে সেটাও একটা অপরাধ। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থায় টিকা আনা সহজ ও দ্রুততর হবে, এটা ভেবেই সরকার হয়তো এটা করেছে। এই বেসরকারি কম্পানি টিকা আনার আগেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এটা পদ্মা সেতুতে টাকা দেওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংক কর্তৃক দুর্নীতির অভিযোগ তোলার মতো। বেসরকারি কম্পানি টিকা বিক্রিতে বড় রকমের দুর্নীতি করলে অবশ্যই র্যাব তাকে ধরবে। এ কথা সত্য, আওয়ামী লীগ আমলেই করোনা টেস্টের ভুয়া সনদপত্র কেলেঙ্কারি, করোনা চিকিৎসার নামে ভুয়া হাসপাতাল চালু ইত্যাদি অনেক দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ সাহেদ মহাপরাক্রমশালী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও র্যাব তাকে ধরেছে। বিএনপির আমলে এই কেলেঙ্কারি ঘটলে অপরাধীকে কি ধরা হতো, বিচার হতো?
আওয়ামী লীগ আমলে শুদ্ধি অভিযানে যুবলীগ, আওয়ামী লীগের রথী-মহারথীরাও ছাড়া পায়নি। বিএনপির আমলে তাদের দুর্নীতিবাজ কজন রথী-মহারথীকে ধরা হয়েছে? বিএনপির বর্তমান নেতাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, যথার্থ ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনীতি করুন। কিন্তু রাজনীতির নামে মিথ্যার বেসাতি করবেন না। করোনার মতো মহামারি নিয়ে রাজনীতি করবেন না। জনগণের মনে টিকা সম্পর্কে সন্দেহের বীজ বপন করে তাদের মৃত্যুর কারণ হবেন না। ধৈর্য ধরুন, দেখবেন শেখ হাসিনার টিকাদান অভিযানও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
লন্ডন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২১