মহামারি করোনাভাইরাসে সারাদেশে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন যত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন তার চেয়ে কম রোগী।
আজ বুধবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫২৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৪ জন হয়েছে। এছাড়া নতুন ১৭ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৭২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫০৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ২০ ডিসেম্বর। এরমধ্যে গত ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন, যা একদিনের সর্বাধিক শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিনপর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনে সর্বাধিক।
বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি পেরিয়েছে, মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ লাখ ৫৮ হাজার। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃত্যুর সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি রযা সপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব মিলে সর্বমোট ২০০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৭২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ৫০৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হার ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।