চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় আপন ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই খুন হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নগরের পাহাড়তলীতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হক।
নিহত ব্যক্তি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী বলে জানা গেছে। তার নাম নিজামউদ্দীন। ঘাতক ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন কামরুল। তিনি ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।
বুধবার সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারপিট ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে যত বিশৃঙ্খলাই হোক, তিনি মাঝপথে ভোটের মাঠ ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর খুলশী, চানগাঁও, বাকলিয়ায় আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাগুলিতে ৩ তিন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনকি আমাদের নারী কর্মীদের গায়েও হাত তোলা হয়েছে।
এবার মেয়র পদে সাতজন এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ২২৫ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪ হাজারের বেশি সদস্য। সবমিলিয়ে ভোটের মধ্যে থাকবেন সাড়ে ১৯ লাখের বেশি মানুষ।