হবিগঞ্জ শহরে মারাত্মকভাবে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই কোনো না কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বাসায় চুরির ঘটনা ঘটছে। তবে সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এসব ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ পুলিশ প্রশাসনকেও। দফায় দফায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ।
এ অবস্থায় চুরি রোধে রাত ১২টার পর শুধু চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন ব্যতীত শহরে অযথা ঘোরাফেরা করলে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর মডেল থানা থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সামছুল হুদা জানান, শহরে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় করণীয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, আমারা দাবি জানিয়েছি রাতে শহরের নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, শীতের রাত ১২টার পর শুধুমাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার কিংবা যুক্তিসঙ্গত প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে পেলে পুলিশের হেফাজতে আনা হবে। তার পরিচয় যাচাইয়ের পর অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পেলে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে বিনা কারণে শহরে ঘোরাফেরা করার কারণে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি তরুণদের রাতে বাসা থেকে বের না হওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।