দেশে একের পর এক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে শৈত্যপ্রবাহ। রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে।
আজ (২৯ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আজ আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
সকালে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এরপরের তিনদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে, কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দিনের অধিকাংশ সময়ই মিলছে না সূর্যের দেখা। দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কনকনে ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ।